অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দশম প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমেরিকার পক্ষ থেকে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর এই প্যাকেজ ঘোষণা করল ইইউ। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করেছিল রাশিয়া।
ইইউ’র বর্তমান সভাপতি সুইডেনের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাতে এক টুইটার বার্তায় এই প্যাকেজ ঘোষণা করে বলা হয়, “ইউক্রেনকে চলমান যুদ্ধে জয়ী করার জন্য ইইউর সবগুলো সদস্যদেশ একসঙ্গে মিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ”
টুইটার বার্তায় আরো বলা হয়, “ইউক্রেন ও ইউক্রেনের জনগণের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। যতদিন প্রয়োজন আমরা ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবো।”
ইইউর এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য পণ্য রাশিয়ায় রপ্তানি না করা এবং যেসব দেশ বা প্রতিষ্ঠান ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো না কোনোভাবে সাহায্য করছে সেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ। ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা বলতে ওই যুদ্ধের রাশিয়ার পক্ষে প্রচারণা চালানো এবং রাশিয়াকে যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ড্রোন সরবরাহ বোঝানো হয়েছে।
মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ইইউর পক্ষ থেকে রুশবিরোধী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। তবে এই নিষেধাজ্ঞার সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছে খোদ ইউরোপের রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একজন আইরিশ সদস্য বলেছেন, ইইউর রুশ-বিরোধী নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করবে। বিষয়টিকে তিনি ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে ‘লজ্জাজনক পাগলামি’ বলে অভিহিত করেছেন।
আইরিশ আইনপ্রণেতা মাইক ওয়ালেন্স বলেন, “এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অত্যন্ত হতাশাজক বছর। আমরা মার্কিন স্বার্থ রক্ষার জন্য অধিকতর উপায়ে একটি আজ্ঞাবহ ভূমিকা পালন করছি। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমরা যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থ রক্ষা করছে না তেমনি তা ইউরোপের জনগণের স্বার্থেরও অনুকূলে নয়।”
তিনি আরো বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় ইউরোপের সাধারণ নাগরিকদের ওপর ব্যয়ের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেবে। এরইমধ্যে ইউরোপে ব্যাপক মাত্রায় মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে এবং জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই আইরিশ সদস্য বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার নাগরিকদের যতটা না ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউরোপের জনগণ।
Leave a Reply